Logo
HEL [tta_listen_btn]

জগদীশ চন্দ্র বসুর মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা সভা

জগদীশ চন্দ্র বসুর মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা সভা

নিজস্ব সংবাদদাতা
জগদ্বিখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর ৮৩ম মৃত্যুবার্ষিকী ও ১৬২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৩ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় ২ নং রেল গেট অবস্থিত বাসদ মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চের জেলা সংগঠক সুলতানা আক্তারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চের কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রকৌশলী শম্পা বসু, উপদেষ্টা বাসদ নেতা আবু নাঈম খান বিপ্লব, জেলা সংগঠক মোহসিনা সিথী, খায়রুল ইসলাম আকাশ, নাছিমা সরদার, রিনা আক্তার, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। শম্পা বসু বলেন, বাঙালি বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ৩০ নভেম্বর ১৮৫৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন ও ২৩ নভেম্বর ১৯৩৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সন্নিকটে মুন্সিগঞ্জ জেলার রাঢ়িখাল। বৃটিশ শাসনের সেই সময়ে পিছিয়ে থাকা ভারতবর্ষের মানুষকে বিশ্ব দরবারে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন দুইজন বাঙালি, একজন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও অন্যজন আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু। তিনি ১০ বার ইউরোপ, আমেরিকা গিয়েছেন। কোন অনুকম্পা বা ভিক্ষার জন্য নয়, গিয়েছেন বিজয়ী হিসাবে বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের প্রবন্ধ উপস্থাপনের জন্য। জগদীশ চন্দ্র বসু বিজ্ঞান চর্চা করেছেন কোন ব্যবসায়িক দৃষ্টি থেকে নয়। তিনি চেয়েছেন সকলে অবাধে বিজ্ঞান চর্চা করুক। এ কারণে বেতার তরঙ্গ আবিষ্কারের পর তিনি পেটেন্ট নেননি। গাছের প্রাণ আছে এর প্রমাণ স্বরূপ গাছের উদ্দীপনা আছে এটা সর্বপ্রথম জগদীশ চন্দ্র বসু নিজের উদ্ভাবিত যন্ত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। আবু নাঈম খান বিপ্লব বলেন, উপনিবেশিক দেশের মানুষের সম্মানবোধ নিয়ে জগদীশ চন্দ্র বসু খুব সচেতন ছিলেন। প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনার চাকরি পাওয়ার পর কলেজের প্রশাসন তাকে ইংরেজদের চেয়ে কম বেতন দেয়ায় তিনি ৩ বছর বেতন গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। ইংরেজ অধ্যাপকদের সমান বেতন দেয়ার পরই তিনি তা গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশে বড় বড় বাজেট হয় কিন্তু শিক্ষা খাতে বরাদ্দ খুব কম। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা খাতে বরাদ্দ খুবই নগন্য। বরং আমরা দেখতে পাই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে সরে গিয়ে ধর্মান্ধ কুপম-ুক শক্তি সমূহকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে। এ অবস্থায় বিজ্ঞান চর্চা ও বিজ্ঞান আন্দোলন আমাদের দেশের সামগ্রিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com